সারাদেশে শুক্রবার সাধারণত সরকারি ছুটির দিন। তাইতো স্বাভাবিকভাবেই দাপ্তরিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকে এই দিনটিতে। অথচ শুক্রবার ছুটির দিনেও সরকারি অফিসে উড়ছে জাতীয় পতাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার যথানিয়মে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অফিস করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অফিস শেষ করে সবাই চলে গেলে জাতীয় পতাকা আর নামানো হয়নি। সারা রাত উড়েছে পতাকা। শুক্রবার সারাদিন জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে অফিস শেষ করে জাতীয় পতাকা না নামিয়ে কর্তৃপক্ষ চলে যায়। সারা রাত পতাকা স্ট্যান্ডে লাগানো ছিল। বিষয়টি শুক্রবার সকালে সবার নজরে এলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরো জানায়,
নাম প্রকাচ্ছে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতীয় পতাকার জন্য দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। অথচ এই পতাকার প্রতি এদের কোন সম্মান নেই। কর্তৃপক্ষের এমন খামখেয়ালি উচিত হয়নি। আশা করি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে- যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।
চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল বিন করিমকে একাধিক ফোন দেয়ার পরেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
চরভদ্রাসন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন
বলেন বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে কেনা এই দেশ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ এই স্বাধীন দেশে এখন ও সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকার প্রতি এরা সম্মান দেখাতে জানে না। কেন এরা এত উদাসীন। এরা কীভাবে সরকারি চাকরি করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ও যদি শুনতে হয় সরকারি অফিসে ছুটির দিনে উড়ছে জাতীয় পতাকা তাহলে কেন স্বাধীন করে ছিলাম এই দেশ। সোনার বাংলা গড়তে সকল সরকারি অফিসার সহ দেশের সকল জনগণের সচেতন থাকতে হবে। লাল সবুজের এই পতাকার প্রতি সবার সম্মান দেখাতে হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবিধি অনুযায়ী, সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য কার্যদিবসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। এছাড়াও সরকার ঘোষিত বিশেষ দিনেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।