ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় ৬ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বগুড়ার রায় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে এই মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে বগুড়ার রায় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১০০ টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগে ছিল ১০১ টাকা ৩৩ পয়সা।
এর আগে গত ২৭ মে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল আমদানির অনুমোদন দেয়। প্রতি কেজির দাম নির্ধারণ করা হয় ১০১ টাকা ৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। সুপারিশকৃত দরদাতা শবনম ভেজিটেবল ইন্ডাস্ট্রিজ।
তিন দেশ থেকে ৩৯৮ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন টিএসপি সার এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে।
সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রো কেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনাজাত) থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮০ মার্কিন ডলার, যা আগে ছিল ২৭৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওসিপি এস এ মরক্কো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওসিপি এস এ মরক্কোর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান জাহেদা পারভীন।
তিনি জানান, এতে ব্যয় হবে ১৩৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫০ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৮০ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৭৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরব এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫১৯ মার্কিন ডলার, যা আগে ছিল ৫১৯ মার্কিন ডলার।