বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। অনেকে সুযোগ বুঝে দেশ ছাড়তে পারলেও আটকে পড়া অনেক এমপি-মন্ত্রী ও অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করেছে।
বিমানবন্দর ও আশকোনা এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত নাঈমের বিরুদ্ধে রয়েছে জমিদখল, চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি, অত্যাচার-নির্যাতনের বিস্তর অভিযোগ। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করেই তিনি সম্পদশালী হয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
রাজধানীর বিমানবন্দর, কাওলা, শিয়ালডাঙ্গা ও গাওয়াইরসহ আশপাশের এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজির জন্য রয়েছে নাঈমের নিজস্ব বাহিনী; তারা এলাকায় ‘নাঈম খলিফা’ হিসেবে পরিচিত।
নাঈমের বিরুদ্ধে পাবলিক টয়লেট, বিমানবন্দর মোড়ের মসজিদ কমপ্লেক্স, ফুটপাত, রাস্তা, সাইনবোর্ড, খাসজমি ও সাধারণ মানুষের জমিদখলের অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় হওয়ায় অপ্রতিরোধ্য নাঈম।