ব্যক্তিগত যে কোনো ধরনের তদবিরের জন্য না এসে সবার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।
পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বলেছিলাম ব্যক্তিগত তদবির-আবদার নিয়ে কেউ আসবেন না।এখনো প্রতিদিন যদি ৫০ জন দেখা করতে আসেন, তারমধ্যে ৪৮ জনই আসেন নানারকম তদবির নিয়ে। আমাদেরও নতুন বাংলাদেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়তে হবে। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশের স্বার্থে ত্যাগের মানসিকতা, কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে শহীদদের স্পিরিটকে ধারণ করে।
তিনি বলেন, দেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারে আপনার প্রস্তাবনা, কেমন বাংলাদেশ চান তা জানান। সংস্কারের কমিশনগুলোকে সহযোগিতা করুন। আমরা যে যেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি সেখানে কীভাবে ইতিবাচক সংস্কার করা যায় সে পরামর্শ দিন।
এদিকে মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সংস্থা-২ শাখা থেকে জারিকৃত পত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, পরবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার উদ্দেশে কতিপয় দুষ্কৃতকারী দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলা চালাচ্ছে যা উদ্বেগজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। মাজার ওলি-আউলিয়া ও দরবেশদের সমাধিস্থল বিবেচনায় এর অনুসারীরা দীর্ঘ ঐতিহ্যের সঙ্গে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করে আসছেন।
পত্রে মাজারে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ভক্তদের চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া কোনো জেলাতে মাজারে হামলার আশঙ্কা থাকলে সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণ করাসহ বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।