বিভিন্ন দাবিতে রেল ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকেই রেল ভবনের ভেতরে ও বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
বেতন বৈষম্য দূর করা, ঝুঁকি ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবিতে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ শুরু করে। অন্যদিকে ভবনের গেটসহ রাস্তায় চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকরা।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ভবনের ভেতরে ও বাইরে বিক্ষোভ চলে। এসময় রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। কেউ কেউ আন্দোলন দেখে রেল ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। তারা মাইকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রেল ভবন ঘেরাও করে রেলওয়ের সহস্রাধিক অস্থায়ী গেট কিপার। তারা চাকরি স্থায়ী করা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গেট কিপার নিয়োগের প্রতিবাদ জানান।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। এরপর দাবি পূরণে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় ২১ আগস্ট আবারও রেল ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সাবেক সরকার তাদের বাদ দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেয়। ফলে প্রায় ২ হাজার গেট কিপার বেকার হয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন।