কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৪৩ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৩৭ এবং ঢাকা জেলার ৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম ও ঢাকার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- আলী হোসেন, ইসমাইল তালুকদার, ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদের, নাফিজ, ইয়ামিন শেখ, আসিফ খান, আব্দুস সামাদ, এলাহি বক্স, তানজিল হাসান, আলাউদ্দিন, অপু, ফয়সাল আহমেদ, সামিউল আলম, শাখাওয়াত হোসেন, ইমরান আহম্মেদ আফসার, সম্রাট খলিফা, মাসুদ পারভেজ, আসিফ, আল আমিন, রায়হান ইসলাম, শাকিল আহম্মেদ, জাবের হোসেন, রাহাত উবায়দুল্লাহ, জাকি, তুহিন, নাহিদ আহম্মেদ, মাসুদ রানা, শরিফুল ইসলাম, শিহাব হোসেন, তাসরিফ স্বপ্ন, আলিফ হাসান, হেলাল, নাসির হোসেন, সাব্বির হোসেন, ফারদিন ইসলাম, ছোয়াদ উর রহমান, রুহুল আমিন, সামির হোসেন, রনি শেখ ও রাশিদুল ইসলাম তুহা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের কালবেলাকে বলেন, জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ জনের পিটিশন মন্ত্রণালয় দায়ের করেছে। যাবতীয় খরচও মন্ত্রণালয় বহন করেছে। এ ছাড়া যে ৬ জন রিট পিটিশন দায়ের করেছে, তাদেরও আইনি সহায়তা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাসসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ১২ দলের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম।
এ ছাড়া রিমান্ড শেষে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সেতু ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রাজধানীর বনানী থানার মামলায় দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই মিছিলকে ঘিরে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
দাবি আদায়ে রাজধানীতেও গণমিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গণমিছিল বের করা হয়। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একাত্মতা জানিয়ে যোগ দেন।