বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কমপ্লিট শাটডাউনসহ নানা কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সর্বশেষ সাতজনসহ এ সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬ জনে।
এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়ে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন গুরুতর আহত রোগীর সংখ্যাও রয়েছে উল্লেখযোগ্য। হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেক রোগী অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা মো. ইউসুফের দেওয়া তথ্য মতে গত ৭২ ঘণ্টায় শুধু সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা চার শিক্ষার্থীসহ সাতজন মারা গেছেন।
গত ১ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে আহত হওয়া এসব ছাত্র-জনতা হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভার ও আশুলিয়া থানাগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে থানাগুলি সচল না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পুলিশি কার্যক্রম। ফলে কোনোরকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা।
সর্বশেষ মৃত্যুর মিছিলের যুক্ত হওয়া যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন- মালয়েশিয়ার টিঙ্কু আব্দুর রহমান ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শ্রাবণ গাজী (১৭), সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান (১৯), দশম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর রহমান (১৬), ডেইরি ফার্ম স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ হৃদয় (১৮), আলিফ আহমেদ সিয়াম (১৬), বিএনপি নেতা মামুন খন্দকার বিপ্লব (৪৫) ও সাদিকুর রহমান (২৭)।