১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ দুষ্কৃতিকারীদের যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে মধ্যরাতে রাজপথে নেমে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১ টা থেকেই বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন দিতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, মাস্টারদা সূর্যসেন হল, বিজয় একাত্তর হল, জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু হল, জসীম উদ্দীন হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, এ এফ রহমান হল, ফজলুল হক হল, শহীদুল্লাহ্ হল, ও অমর একুশে হলসহ বিভিন্ন হলের হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।
এসময় তাদের অনেকের হাতেই লাঠি-সোঁটা দেখা যায়। এছাড়া, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত পৌনে ১টা) তাদেরকে দলবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা সারারাত ক্যাম্পাস পাহারা দিবেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা- হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনী হাসিনা/সন্ত্রাসীরা গেলি কই? ; কোথায় গেলি খুনীরা, কই গেলো তোর বাপেরা ; জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে ; লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে ; ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, খুনী হাসিনার ফাঁসি চাই ; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিবি না ; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না ; একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
হামিদুল ইসলাম আরাফাত নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে উৎসবের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সব হল থেকে মিছিল বের হয়েছে, প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে। সারারাত ক্যাম্পাসে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছে অনেকে। কয়েকটা হলে সাউন্ড বক্স এনেছে গণচাঁদা তুলে। দেশাত্মবোধক গান বাজানো হচ্ছে। গত দেড় মাস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এক একটা মুহূর্ত এক একটা ইতিহাস হবে।
ঢাবি শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, আমরা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের কবর রচনা করতে বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস মিছিল
সহকারে প্রদক্ষিণ করে আমাদের অবস্থান জানান দিচ্ছি। সারারাতব্যাপী ক্যাম্পাসে আড্ডা চলবে।
আরেক শিক্ষার্থী সাদিক সিকদার বলেন, আজ সারারাত আমরা দেশমাতৃকার পাহারায় জাগ্রত থাকবো, সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।
এছাড়া, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বিরোধিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হলে সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাস করতেও দেখা গেছে।