ঢাকারবিবার , ১৮ আগস্ট ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. সারাদেশ
  10. হ-ব্রেকিং

শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

বার্তা কক্ষ
আগস্ট ১৮, ২০২৪ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপধ্যায়।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে আন্দোলনকারীদের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপধ্যায়। এরপর দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে অবস্থান করছিলেন তিনি। এর কিছু সময় পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী জেলা সমন্বয়ক পরিচয়ে মিলন ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন ইউএনওর উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় দিলাপকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে কম্পিউটারে টাইপ করা একটি কাগজে তাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। প্রথমে রাজি না হলেও আন্দোলনকারীদের  চাপের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। পরে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপধ্যায় বলেন, রোববার সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে দপ্তরের বিভিন্ন কাজ করি। দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে একটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় ছিলাম। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী নাম পরিচয়ে ৫০ থেকে ৬০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করে আমার কাছে আসেন। তারা পদত্যাগপত্র লিখে এনে আমাকে ওই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। ইউএনও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা কোনো কথা শুনতে চায়নি। পরে চাপের মুখে মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাদের লেখা পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করি। তারা আমাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। 

তিনি বলেন, আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিনি, আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে সে ব্যাপারে তার স্থানীয় সরকার বিভাগসহ বর্তমান সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাইছি । 

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,  বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এসে তাকে (দিলীপ কুমার) পদত্যাগ করতে বলেন। আমি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে তার পদত্যাগপত্র আমার কাছে জমা দিলে আমি তা গ্রহণ করি। পদত্যাগপত্রটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। 

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী জেলা ও ডোমার উপজেলার সমন্বয়ক পরিচয়ে মাহির মো. মিলন বলেন,  দিলীপ কুমার মুখোপধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সব সময় তিনি আমাদের বিপক্ষে ছিলেন। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদে যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে সব দলের আংশগ্রহণ ছিল না। জনগণ ভোট দেননি। ওটা ছিল ডামি নির্বাচন। ওনাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, ওনি সসম্মানে পদত্যাগ করেছেন। 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি