বরকতউল্লাহঃ
অবশেষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি নামে হাফেজি মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানো সেই মাদ্রাসা শিক্ষক ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। এর পর তাকে ফের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মাদ্রাসা থেকে মায়ের পিছু পিছু ছুটে যাওয়া শিশুটিকে ধরে পেটানোর ছবি ভাইরাল হলে আটকের পর তাকে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ।এর আগে কোনো অদৃশ্যচাপে শিশুটির পরিবার মামলা দিতে রাজি না হওয়ায় বুধবার দুপুরে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে গণমাধ্যমে খবর প্রচারের পর আবারও তাকে আটক করে পুলিশ। পাশাপাশি মাদ্রাসা থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে
ভিডিও ভাইরালের পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঐ মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করলেও শিশুর অভিভাবকদের দাবির মুখে ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন।
এদিকে এই ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তার পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন পরিচালক। পরে চাপের মুখে মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসায় মায়ের পিছু পিছু ছুটে যাওয়া শিশুটিকে ধরে এনে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করছেন শিক্ষক ইয়াহিয়া। মাটিতে লুটিয়ে শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরেও রেহাই মিলেনি। বরং বেড়েছে মারধরের পরিমাণ। মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হবার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দিবাগত রাত দেড়টায় পুলিশের মাধ্যমে আটক করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। ডাকা হয় শিশুটির অভিভাবককেও। কিন্তু শিশুটির অভিভাবকরাও অজানা কারণে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে নির্বিকার ছিলো। ফলে কঠোর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন।পরে উপজেলা প্রশাসনের মন গলাতে লিখিত আবেদন জানায় অভিভাবকেরা।
হাটহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ভিডিও ভাইরাল হবার পর মধ্যরাতে আমি পুলিশের মাধ্যমে শিক্ষককে ধরে আনি। কিন্তু অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের ব্যাপারে প্রবল অনীহা ছিল। উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষককে ছেড়ে দিতে উনারা বারবার আমাদের অনুরোধ করেছেন। সে প্রেক্ষাপটে আমরা সেই সময় কোন জোরালো ব্যবস্থা নিতে পারিনি
ভাইরাল হওয়া ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও দেখে সারাদেশের মানুষ শিউরে উঠলেও, শিশুটিকে এমন নির্যাতনে একটুও বুক কাঁপেনি শিক্ষক ইয়াহিয়ার।হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমিতে মায়ের পিছু পিছু ছুটে যাওয়া ছোট্ট শিশুটিকে ধরে এনে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করছেন ইয়াহিয়া। শিক্ষকের পা জড়িয়েও রেহাই মিলেনি তার। মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরালের পর নজরে আসে প্রশাসনের।
অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী। মূল ধারার শিক্ষকদের মতো এসব মাদ্রাসা শিক্ষকদেরও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।