আফগানিস্তানে বিদেশিদের সহায়তাকারীদের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে তালেবানরা। প্রায় দুই দশক ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী দেশটিতে অবস্থানের সময় স্থানীয় নাগরিকেরা নানাভাবে তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তালিকা ধরে সেই আফগানদের খুঁজছে তালেবান যোদ্ধারা।
তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও তাদের আফগান সহকর্মীদের দ্রুত কাবুল থেকে সরানোর কাজ চলছে। বিদেশিদের যেতে দিলেও সাধারণ আফগানদের কাবুল বিমানবন্দরে যেতে তালেবান বাধা দিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার এক দোভাষীকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে রোববার থেকে কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জন।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবান দখলে যাওয়ার ৪ দিন পরও দেশজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। নানা উপায়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আতংকিত নাগরিকরা।
এর মধ্যে কয়েকদিন ধরেই কাবুল বিমানবন্দরে দেখা গেছে বিশৃঙ্খলা। কোন আফগান নাগরিক যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য কাবুল বিমানবন্দরে যেতে তাদের বাধা দিচ্ছে তালেবান। বিমানবন্দরমুখী জনস্রোত ঠেকাতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ছে তালেবানরা।
বিমানবন্দরের প্রবেশপথসহ চারদিকে তল্লাশি চালাচ্ছে তালেবানরা। সঠিক কাগজপত্র না থাকলে বিমানবন্দরে যেতে পারছে না আফগানরা। তবে মার্কিন পাসপোর্টধারীদের বাধা দেয়া হচ্ছে না। সব মার্কিন নাগরিক দেশে না ফেরা পর্যন্ত সেখানে সেনা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে, তালেবান ক্ষমতা দখল করায় ‘স্বচ্ছতার অভাব’ থাকার আফগানিস্তানের জন্য বরাদ্দ ৩৭০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা আটকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। আর, ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান।
এদিকে, আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে