দীর্ঘদিন পর দেখা মিলছে রূপালী ইলিশের। সাগর-নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে-ঝাঁকে মাছ। সকাল হলেই আড়তে বিপুল পরিমাণ ইলিশ নিয়ে হাজির হচ্ছেন জেলেরা। মাছের স্তুপ আর ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক-ডাকে মুখর চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাট। এতে স্বস্তি ফিরেছে জেলেদের মাঝে। দামও এসেছে সাধারণের নাগালে।
এক সপ্তাহ আগেও নদী-সাগর থেকে খালি হাতে ফিরতে হতো জেলেদের। এতে হতাশ হয়ে পড়েন তারা। কিন্তু সেই বিষন্ন মুখে এখন ফিরেছে স্বস্তির হাসি। পদ্মা, মেঘনা ও সাগরে জাল ফেললেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ।
গত এক সপ্তাহ ধরে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাট মুখর ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক-ডাকে। ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলে, ঘাট শ্রমিক, আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের।
বাজারে দামও কমতে শুরু করেছে ইলিশের। এক থেকে দুই কেজি ওজনের প্রতিকেজির দাম এক হাজার ৫০ টাকা। আর কেজির নিচে বিক্রি হচ্ছে ৪২৫ টাকা দরে।
আড়ৎদার জানান, গত পাঁচদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার মণ ইলিশ আসছে বাজারে। এসবের বেশির ভাগই সাগরের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জাটকা নিধন অভিযান সফল হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলের কারনে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।
মাছের খবরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ইলিশ বেচা-কেনা হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ বাজারে।
এদিকে বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিবছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২২ দিন এই সময়ের ১৫ থেকে ১৭ দিন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে এসে ডিম ছাড়ে। স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকাকালীন সারাদেশের তালিকাভুক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হবে। নির্দেশ অমান্য করে কেউ যেন নদীতে মাছ ধরতে না পারে, সেজন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
টুয়েন্টিফোর বাংলাদেশ নিউজ/এসকে