গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাড়তি টাকা আদায় করাকে অবৈধ সম্পদ বলে বিবেচনা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কোন পরিবহনের মাধ্যমে বাড়তি গড়ে কত ভাড়া আদায় করা হয়েছে, তা হিসাব করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে দুদক। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া নিজেদের কর্মীর মাধ্যমেই সংগ্রহ করা হবে বাড়তি ভাড়া আদায়ের তথ্য।
ঈদের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ বছরও ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।
ঈদের ছুটিতে দেশের আনাচে কানাচে গেছেন দুদকের প্রায় ২ হাজার কর্মী। ছুটি শেষে যারা আবার ফিরে আসবেন ঢাকায়। এ যাত্রায় তাদের বেশিরভাগই ব্যবহার করেছেন গণপরিবহন।
এবার ছুটির পর তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে দুদক কর্তৃপক্ষ। বাড়তি ভাড়া আদায় হয়েছে এমন তথ্য প্রমাণ পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে টিআইবি বলছে, ঈদ মৌসুমে বাড়তি ভাড়া আদায়ের যে হিড়িক ওঠে, তার পেছনে রয়েছে এক সংঘবদ্ধ চক্র।
২৫ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে বাড়তি ভাড়া, চাঁদাবাজি ও টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি