ভাসমান জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে থেকে দেশের ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম। যা চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে দিয়ে এবারই প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে শুমারির কাজ।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অধীনে এবারের শুমারি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেখানে মোট চার লাখ ৩৪ হাজার কর্মী ট্যাব ব্যবহার করে সংগ্রহ করবেন ৪৫ ধরনের তথ্য।
এবারের জনশুমারিতে একইসাথে ব্যক্তি এবং খানার তথ্য নেয়া হবে। দেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক এবং ৬ মাসের কম সময়ের জন্য বিদেশে যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। নেয়া হবে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর তথ্য।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, এবার ৩ মাসের মধ্যেই শুমারির প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। শুমারি থেকে কেউ বাদ পড়লে সাহায্যের জন্য খোলা হয়েছে কল সেন্টার।
মঙ্গলবার রাত শুন্য সময় থেকে দেশের প্রায় ২০ হাজার স্পট থেকে ভাসমান ও ছিন্নমুল মানুষ গণনার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ জনশুমারি। বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ভাসমান মানুষ গণনা করা হবে। এরপর বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুমারির মূল কাজ শুরু হয়ে আগামী ২১ জুন এ শুমারি শেষ হবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবারের শুমারি ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ায় তথ্য হালনাগাদ করার কাজ সহজ হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা হয় । ২০১১ সালের সবশেষ পূর্ণাঙ্গ শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৯৭ জন । প্রতি ১০ বছর পর পর শুমারি হলেও এবার করোনার কারণে এক বছর পর তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাতদিন ধরে চলা জনশুমারির প্রতিবেদন তিন মাস পর প্রকাশিত হবে।