এককোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের জন্য ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। এসব তেল দুই লিটারে বোতলজাত করে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বুধবার ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও ১১১ টাকা কেজি দরে বেশ কয়েকটি কোম্পানির কাছ থেকে ৫ হাজার টন মসুর ডালও কেনা হবে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক।
দুই লটে ২১২ কোটি টাকায় এসব তেল কেনা হবে। প্রথম লটে সুপার অয়েল রিফাইনারির কাছ থেকে প্রতি লিটার ১৭৩ দশমিক ৯৫ টাকায় ৪০ লাখ লিটার তেল কেনা হবে। দ্বিতীয় লটে ১৭১ টাকা দরে তিনটি বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে ৮৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।
এছাড়া কাতার ও সৌদি আরব থেকে জিটুজি ভিত্তিতে এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড-কাফকো থেকে ১ দশমিক ২০ লাখ টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। সবমিলিয়ে সভায় ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক জানান, যেহেতু এসব পণ্য টিসিবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হবে, তাই সরকার সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এসব পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, টিসিবির জন্য মাসে ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল লাগে।
সভা শেষে জানানো হয়, দুটি ক্রয় প্রস্তাবের বিপরীতে ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবের বিপরীতে সুপার অয়েল রিফাইনারির কাছ থেকে ৪০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি লিটার তেল ১৭৩ টাকা ৯৫ পয়সায় সরকারের কাছে বিক্রি করবে।
সভা শেষে আরো জানানো হয়, বাকি একটি প্রস্তাবের বিপরীতে ৮৫ লাখ লিটার তেল কেনা হবে বসুন্ধরা, সুনসিং এডিবল অয়েল ও সিনহা এডিবল অয়েলের কাছ থেকে। এ তিন প্রতিষ্ঠান প্রতি লিটার সয়াবিন তেল সরকারের কাছে বিক্রি করবে ১৭১ টাকায়। এর বাইরে সরকার স্থানীয় একাধিক কোম্পানির কাছ থেকে ১১১ টাকা কেজিতে মসুর ডাল কিনবে টিসিবির জন্য।
টিসিবির ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ডের আওতায় একজন কার্ডধারী সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারেন।
প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, ১ কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করে টিসিবি।