চলতি মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে নাশকতা ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোথাও রাজনৈতিক সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার কথা বলেছে ডিএমপি। ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের কারণে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে চলবে এই বিশেষ অভিযান।
ডিসেম্বর মাসে রয়েছে বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বড়দিন ও থার্টি ফাস্ট নাইটের মতো রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
দেশের অন্যান্য বিভাগে দলটির সমাবেশের সময় ধমর্ঘট করেছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এ কারণে সমাবেশের ২ দিন আগেই সমাবেশ স্থলে জড়ো হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু ঢাকার সমাবেশস্থল হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। এখানে ২ দিন আগে থেকে রাত্রি যাপনের সুযোগ নেই।
বিএনপির সমাবেশে তৃতীয়পক্ষের নাশকতা যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক পুলিশ।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিবাগের প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, সমাবেশে স্থান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। সেদিনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে।
এছাড়া সমাবেশে বিশৃঙ্খলা হলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে ও পরে অবস্থান করলে আইনী ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার ফারুক আহমেদ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি ছিনতাই, থার্টিফার্স্ট নাইট এবং মহান বিজয় দিবস ঘিরে আমাদের বিশেষ অভিযান চলছে।
এছাড়া খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোস্ট পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।
দশ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি শুধু তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে নিরাপত্তায় থাকবে র্যাব, ডিবি, কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম এবং সোয়াতের বিশেষ টিম। সাদা পোশাকেও থাকবে নজরদারি।