হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে পুরো দেশ। কুয়াশা আর হিম হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে সবাই। এর মাঝে টানা চারদিন পর শীতে কাঁপার সকালে রোদের দেখা মিলেছে রাজধানীতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং কিছু কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে।
দিনের তাপমাত্রা কমে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য পরিমাণে বাড়বে। এর আগে গত শনিবার রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১.৫ ডিগ্রি।
এদিকে ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত। নওগাঁ, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমশীতল বাতাসে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের তীব্রতায় চরম ভোগান্তিতে ছিন্নমূল মানুষজন। শীত নিবারণে গরম কাপড় বা কম্বল মিলছে না অনেকের। এতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন ভাসমানরা। ইট পাথরে চাপা পড়ে থাকে ফুটপাতে থাকা এসব অসহায় মানুষদের চাপা কান্না।
এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় গত এক সপ্তাহযাবত দিনে সূর্যের দেখা মিলছে। হাড় কাঁপানো শীতের কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য গরীব মানুষরা খড়কুটো জ্বালিয়ে একটু উষ্ণতার পরশ নিচ্ছে। কুয়াশার চাদরে সারাদিন সূর্য ঢাকা থাকায় ঘর থেকে বেরিয়ে কাজের সন্ধানেও অনেকে যেতে পারেন না।
এর ফলে দিনে এনে দিনে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান, ঠেলাচালক, কৃষি শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের রোজগার নেই। দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে কাজের আশায় প্রচণ্ড শীতেও অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছে, কিন্তু মিলছে না কাজ। কাজ না পাওয়ায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
সারাদেশে বাড়ছে শীতজনিত রোগ-বালাই। নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার শিশু ও বৃদ্ধ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে সকালেও হেডলাইড জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে-মঙ্গলবার পর্যন্ত কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। সপ্তাহের শেষ দিকে কোথাও কোথাও হতে পারে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও।