বগুড়ায় যুবলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে বগুড়া শহরের মালগ্রাম দিঘিরপাড় ও শাজাহানপুর উপজেলার খরনা বাজারে পৃথক দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বগুড়া পৌর যুবলীগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি সদস্য রানা পাইকার (৩৪) ও শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম (২৮)। রানা পাইকার বগুড়া শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং নূর আলম শাজাহানপুর উপজেলার দেশমা গ্রামের বাসিন্দা। বগুড়া জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া আদিল ওই দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার রাতে নূর আলমকে হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার খরনা বাজারে নুর আলমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই বাজারে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।
জানা যায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বগুড়া শহরের মালগ্রাম দিঘিরপাড় এলাকায় যুবলীগ নেতা রানা পাইকারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বগুড়া সদর থানার পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা ইস্যুতে পুলিশ লাইন্সে সরিয়ে নেওয়ায় থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বরেন, নূর আলমের লাশ রাতেই তার স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। আর রানা পাইকারের লাশ হাসপাতাল মর্গে আছে।