ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সেখানে তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কর্মসূত্রে আগে থেকেই আছেন। তবু মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে দুঃখের কথা জানিয়েছেন সায়মা। খবর এনডিটিভির।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার শাসনের পতন ঘটে। এর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয় সরব থাকলেও সায়মা চুপ ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক্সে পোস্ট দিয়ে এ নীরবতা ভাঙেন তিনি।
সায়মা ওয়াজেদ ওই পোস্টে লিখেন, আমার ভালোবাসার দেশ বাংলাদেশে মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আমার এতটাই মন খারাপ যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে এবং জড়িয়ে ধরতে পারিনি।
তবে এ পরিস্থিতিতেও তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান।
এর আগে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, ভারতে তার বোন কর্মসূত্রে আছেন। মা সেখানে যাওয়ায় খুব একটা সমস্যা হবে না। এ ছাড়া তিনিসহ পরিবারের সবাই বিদেশে স্থায়ী। নিজ নিজ বাসস্থানে তারা অভ্যস্থ হওয়ায় বাংলাদেশে না গেলেও কোনো সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত,
ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারত। দিল্লি থেকে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা স্বল্প সময় অবস্থানের কথা বলে তাদের এখানে আসেন। কিন্তু দুদিন পার হওয়ার পরও হাসিনা এখনো ভারতেই রয়ে গেছেন।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু মঙ্গলবার জানিয়েছে, শেখ হাসিনা এখন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিনল্যান্ডে আশ্রয়ের খোঁজ করছেন।
হিন্দু আরও জানিয়েছে, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। তবে সেখানে তার আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এবং জুনিয়র মন্ত্রী।
উল্টো যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য চাপ দিতে পারে বলেও জানিয়েছেন দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা।