ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবার হাইকোট ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ জন্য কার্জন হলের গেটে সবাইকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সবাই দ্রুত ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে আসুন, হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন।
পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না হুঁশিয়ারি দিতে তারা বলেন, আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের নিয়ে জরুরি ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারপতিরা সভাটি করবেন বলে জানা গেছে।
যদিও বুধবার (৭ আগস্ট) থেকে বন্ধ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম। রোববারের (১১ আগস্ট) মধ্যে হাইকোর্টসহ সব আদালত খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন আইনজীবীরা। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অপসারন দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এমন অবস্থায় সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের ফুল কোর্ট সভা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।