চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজের সাত দিন পর ছায়েদ আলম নামে এক যুবদল কর্মীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাপাহাড় ব্রিকফিল্ড থেকে ১ কিলোমিটার পূর্বে দুর্গা ঘোনা নামক পাহাড়ের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ছায়েদ উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকার দেলোয়ার হোসেন কেরানি বাড়ির মো. দেলোয়ারের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় বিজয় মিছিল করে। বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাতে ছায়েদ আলম নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি ও মোবাইল নম্বরে একাধিক ফোন দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নিহত ছায়েদ আলমের ভাতিজা মো. নাজমুল বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর আমার কাকা বিজয় মিছিলে যায়। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাকা নিখোঁজ হয়। কাকার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিল রাত সাড়ে ১০টায়। এরপর ওনার ফোনে একাধিক ফোন দিলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। নিখোঁজের বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে থানায় কোনো পুলিশ সদস্য পাওয়া যায়নি। আজকে দুপুরে যেখান থেকে কাকার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে একজন ফোন দিয়ে বলে ছায়েদের মরদেহ পাহাড়ের পাদদেশে পড়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, তখনকার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার কাকাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করত। মাস দুয়েক আগে মাটি কাটা নিয়ে আমার কাকাকে (ছায়েদ) মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। এই ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ছায়েদ আলম বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিল। তবে তার কোনো পদপদবি ছিল না।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে একটি লাশের খবর পেয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর একটি টিম গিয়ে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশ উদ্ধার করে ডিএনএ টেস্টের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএনএ টেস্টের পর জানা যাবে এটি সাত দিন না কি ১ মাস আগের লাশ। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।