বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধি দল তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রতিনিধি দল আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
প্রতিনিধি দল আবু সাঈদের বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান এবং সমবেদনা জানান। এ সময় উপস্থিত সবাই কান্নায় ভেঙে পড়লে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। তার সঙ্গে ছিল ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া পীরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধারাও ছিলেন।
সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেও তার সন্ত্রাসীরা এখনো জেলা ও উপজেলায় সক্রিয় রয়েছে এবং সহিংসতা করার চেষ্টা করছে। যারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদের টার্গেট করে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসিতে একটি প্রোগ্রামে দাবি জানিয়েছি যে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার দায়ে মামলা করে শেখ হাসিনার যেন বিচার করা হয়। আবু সাঈদসহ অন্য সবার হত্যার বিচার আমরা আদায় করব।
পরে প্রতিনিধি দল আন্দোলন চলাকালীন ঢাকার বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে নিহত পীরগঞ্জের আরেক প্রতিবন্ধী যুবক সোহাগ মিয়ার বাড়ি উপজেলার বড়পাহাড়পুর গ্রামে গিয়ে তার মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ।
অপরদিকে গত ১৯ জুলাই ঢাকার বাড্ডায় আন্দোলন চলাকালীন সময়ে মায়ের ওষুধ আনতে গিয়ে বুকে গুলি লেগে প্রাণ হারায় প্রতিবন্ধী যুবক সোহাগ।