সাধারণভাবে তাকালে বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা বলেই মনে হবে। শেষ ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা যেভাবে পরাস্ত হয়েছেন সেটাই হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশে দলের সাবেক কোচ সারোয়ার ইমরান দেখেন ভিন্ন সমস্যা। শুধু ব্যাটিং নয়, ফিল্ডিংয়েও প্রচুর দুর্বলতা দেখেন টাইগারদের। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন দলে এত বিদেশি কোচের কাজ নিয়েও।
জাতীয় দলের এ সাবেক কোচ আক্ষেপ করে বলেন, ‘জানি না এত বিদেশি কোচ রেখে কী হচ্ছে আমাদের! ব্যাটিং আর ফিল্ডিংয়ের তো একদম যাচ্ছে-তাই অবস্থা। বিশেষ করে টপ-অর্ডারে কেউ রান করতে পারছে না। ফিল্ডিং ব্যাক-আপও খুব খারাপ। ফিল্ডাররা দুটি ক্যাচ উঠলে একটি ফেলে দিচ্ছে। চপলতা, ক্ষিপ্রতাও চোখে পড়ছে না।’
বাংলাদেশের শেষ ম্যাচগুলোতে রীতিমতো হতাশ করেছেন লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসান। সেই তালিকায় যোগ হয়েছে সৌম্য সরকারের নামও। টপ-অর্ডারের চারজন রান না পেলে ব্যাটিং ভালো হবে কী করে? সেই প্রশ্ন ইমরানের। তিনি বলেন, ‘সৌম্য, লিটন, শান্ত আর সাকিব-চার মেইন ব্যাটারই খারাপ খেলছে। কারও ব্যাটেই রান নেই। কেউ হাত খুলে খেলতে পারছে না। দীর্ঘ ইনিংসও বেরিয়ে আসছে না কারও ব্যাট থেকে। ওপরের দিকের চারজনের অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে ব্যাটিং ভালো হবে কী করে? একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই ভালো খেলছে।’
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে টপ-অর্ডার ব্যাটারদের অ্যাপ্রোচ দেখে ভীষণ চটেছেন ইমরান। তার মনে হয়েছে অর্শদিপ সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনার ও টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো ভয়ে ভয়ে খেলেছেন। বয়োজ্যেষ্ঠ এ কোচ বলেন, ‘আমরা তো ভীত। ভারতের বিপক্ষে গা গরমের ম্যাচে দেখলাম ওপরের দিকে নতুন বলে এমনকি পাওয়ার প্লেতেও কেউ মেরে খেলল না। খেলার চেষ্টাও করল না। দেখে মনে হলো ভারতীয় ফাস্টবোলারদের মারার সাহস নেই আমাদের টপ-অর্ডার ব্যাটারদের। ওপরের দিকে কেউ হাত খুলে মারার সাহসই করল না, আমি দেখে অবাক!’
ব্যাটিং দুর্বলতার পাশাপাশি বোলিং বিশেষ করে পেস বোলিং নিয়েও অসন্তোষ কোচ ইমরানের। বোলিংয়ের কিছু ডেভেলপ হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি বলে দাবি তার। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় পেসাররা এক ফুট, সোয়া ফুট সুইং করিয়েছেন। আর আমাদের কারও বল এক ইঞ্চিও সুইং করল না। ভারতীয় বোলাররা ভর-দুপুরে সুইং করাল আর আমরা সকালের উইকেটেও এতটুকু মুভমেন্ট পেলাম না। আমাদের ৩ পেসারের কারও বল এতটুকু সুইং করল না। এমনি জোরে জোরে বল করল।’