জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেলস্টেশনে চিলাহাটী থেকে খুলনাগামী এক্সপ্রেস ও নীলফামারী থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন ও আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্র-জনতা।
এ সময় চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় আধাঘণ্টা বিলম্ব করে পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ট্রেনের যাত্রা বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে আন্দোলনকারীরা ট্রেনের সামনে ব্যানার ও রেললাইনের ওপর স্লিপার তুলে দিয়ে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান রাখেন।
এদিকে ট্রেনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন চিলাহাটী থেকে খুলনাগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের শত শত যাত্রী। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বৈঠকে বসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা। এ সময় প্রায় ২ ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ার পর আবার ট্রেনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাঁচবিবি বণিক সমিতি ও ছাত্র-জনতার উদ্যোগে এই মানববন্ধন এবং আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়।
পাঁচবিবি বণিক সমিতির সভাপতি ও আন্দোলন কর্মসূচির সমন্বয়ক মো. তাইজুল ইসলাম বলেন, আমরা পাঁচবিবিবাসী দল-মত নির্বিশেষে ট্রেনের এই যাত্রা বিরতির দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উনাদের কোনো সাড়া পাইনি। এ কারণে আজ আমাদের পাঁচবিবিবাসীর প্রাণের দাবি, রূপসা ও নীলসাগর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে ছাত্র-জনতা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি।
পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছলে আন্দোলনকারীরা ট্রেন থামিয়ে দিয়ে আন্দোলন করেন। এ সময় এই রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা পর এ রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।