বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়িক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৯ বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম জাকী আল ফারাবীর আদালতে গত রোববার ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম এ মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান। তিনি এখন ষ্টেজ শোয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে জায়েদ খান কালবেলাকে বলেন, আমরা শিল্পী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হামলা করে হত্যার চেষ্টা করব এটা কেমন কথা। আমার মনে হয় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে শিল্পীদের জড়িয়ে এধরনের মামলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শ থাকলেও শিল্পীরা হলো ফুলের মতো। তারা সংঘাতে বিশ্বাসী না।
তিনি আরও বলেন, এখন যেটা হচ্ছে আমার মনে হয়েছে দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরির জন্য একটা মহল চেষ্টা করছে। কেউ যদি অপরাধী হয় অবশ্যই তার শাস্তি হোক চাই আমি। কিন্তু নির্দোষ মানুষ যেন নির্যাতনের শিকার না হয় বিষয়টি দেখতে হবে। আমি শিল্পী সমিতিতে একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছি। কে কোন দলের সেটি বিবেচনায় কিন্তু কাজ করিনি। শিল্পীরা সবাই সমান।
জায়েদ খান বলেন, একটা দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন, অসহায় শিল্পীদের সহায়তাসহ নানা কারণেই তাদের সঙ্গে আমাদের বসতে হয়েছে। অনেকেই তাদের সমর্থকও থাকতে পারেন। কিন্তু একটা মামলা করার আগে দেখতে হবে তারা অন্যায় কিছু করেছেন কিনা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারের সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালান। গাড়িবহরের ১২/১৪টি গাড়ি ভাঙচুর, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন।
এরই মধ্যে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি মতিঝিল থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।