ঢাকা মহানগর দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেসব পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ সাধারণ জনগণের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
একইসঙ্গে নতুন করে এসব রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা যেন আর কোনো দলীয় দাসে পরিণত না হয় সেটি মাথায় রেখে পুলিশ বাহিনী সংস্কারেরও দাবি জানান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জজ কোর্ট এলাকায় আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, যারা আন্দোলন দমনের নামে এতদিন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হয়ে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছেন, গুলি করে হত্যা করেছেন তারা সন্ত্রাস। তারা কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নয়। তাই দ্রুতই তাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অতি দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে এসে কঠিন শাস্তির মুখোমুখী করতে হবে তাদের।
পুলিশের সংস্কার নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, পুলিশ বাহিনী যেন কোনো দলের বা ব্যাক্তির লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত না হয়। তারা জনগণের চাকর, জনগনের সেবক। জনগনের ট্যাক্সের টাকার তাদের বেতন হয়।
সুতারাং জনগনের সাথে যেন প্রভুত্ব যেন না দেখায়। আমরা চাই আগামী দিনে পুলিশের সদস্যরা এমন আচরণ আর না করুক। যারা নিরীহ জনগণের ওপর, শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে তারা পুলিশ নন।
রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতকর্মীদের নিয়ে দেখা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া হাবিবুল্লাহ বাহারের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের পরিবারের সাথে।
এসময়, তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের মা ও বাবা। আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর মা বলেন, তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষমই ছিলেন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী। সে পড়াশুনার পাশাপাশি ধোলাইখালে পার্টসের দোকানে কাজ করতো। তার নিহত হওয়ায় আর্থিক বেশ অসুবিধায় পড়েছেন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের পরিবার।
এসময় ইশরাক হোসেন তার পরিবারের পাশে থাকারও ঘোষণা দেন। সেইসাথে সরকারের কাছে দাবি জানান, আব্দুল্লাহ সিদ্দীকসহ এই আন্দোলনে নিহত হওয়া প্রত্যেক পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরী নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর বাসায় যাওয়ার পথে একই এলাকার গুলিবিদ্ধ ১০ বছরের দুই শিশুরও শারিরিক খোঁজখবর নেন বিএনপির এই নেতা।