শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বন্দি ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের কবে মুক্তি দেওয়া হবে তা জানতে মঙ্গলবার ঢাকায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ভবনের সামনে হাজির হয়েছিলেন স্বজনদের অনেকে৷
এ বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকালে পরিবারদের জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিজিএফআই পরিচালক (অ্যাডমিন) আজমিন তামজিদ৷
তিনি বলেন, ‘‘এখানে কোনো বন্দি নেই৷ বন্দিদের বিষয়ে আগামীকাল (বুধবার) সকালে আপডেট জানানো হবে৷”
ডিজিএফআই সদরদপ্তরে মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস, বিশিষ্ট ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলম এবং নারী অধিকার নেত্রী শিরিন হকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তামজিদ৷
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়, এরই মাঝে বেশ কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিরোধী মতের উপর নির্যাতন চালানো ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গুম, অপহরণ করার অভিযোগ রয়েছে৷এদের অনেকেই বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ৷
নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে গঠিত মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘আমরা উত্তর চাই৷” অন্তত ২০টি পরিবার স্বজনদের খোঁজে জড়ো হয়েছিলেন৷
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন জানিয়েছিলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আটক সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে৷ এরই মাঝে মঙ্গলবার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ তাছাড়া যুদ্ধপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া মীর কাসেম আলীর ছেলে আইনজীবী আহমেদ বিন কাসেমকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷
‘‘একটি গোপন বন্দিশালা থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে,” বলে জানান আহমেদ বিন কাসেমের স্বজন মাসুম খলিল৷
২০১৬ সালে তাকে সাদা পোশাকেআইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুম করেছিল বলে অভিযোগ৷
সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা শুনেছি আহমেদ বিন কাসেমকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷”
‘‘কিন্তু বাকিদের কী অবস্থা,” প্রশ্ন সানজিদার৷