ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে নিখোঁজের চার দিন পর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় মহিলা পরিষদ।
ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণপূর্বক দ্রুত গ্রেপ্তারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। সেই সাথে নারী ও কন্যার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানায়।
সেই সঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে নিখোঁজের চার দিন পর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত দুই ছাত্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার নিহত ওই দুই ছাত্রী মাদ্রাসায় যায়। ২৪ আগস্ট শনিবার মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ফোনে নিহতের পরিবারকে জানানো হয় তারা দুজন মাদ্রাসায় নেই। তাদের খোঁজ পাওয়া না গেলে পরিবারের লোকজন মাদ্রাসার ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তা দেখতে দেন নাই। তারা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার উত্তরপাড়া বায়তুল করিম মসজিদের মুয়াজ্জিন আজান দিতে যাওয়ার সময় টর্চের আলোতে রাস্তার পাশের জমিতে লাশ দুটি পরে থাকতে দেখেন। তার ডাকাডাকিতে আশপাশের লোকজন এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নিহত দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারী ও কন্যারা নিষ্ঠুর সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সহিংসতা হত্যাকাণ্ডে পরিণত হচ্ছে।