রাঙামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান (৩৫) কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে আব্দুল মান্নানকে রাউজান রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের চৌধুরী মার্কেটের পাশে জঙ্গল থেকে পথচারীরা লাশ উদ্ধার করে জে কে মেমোরিয়াল হসপিটালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাউজান উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তার লাশ বেতবুনিয়া ডাকবাংলো এলাকায় তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আব্দুল মান্নান পেশায় একজন বালি ও কংকর ব্যবসায়ী। তিনি কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ডাকবাংলো এলাকার কবির মিস্ত্রির ছেলে।
আবদুল মান্নান এর আত্মীয় মো. হিরামন জানান, রাঙ্গুনিয়া থেকে আব্দুল মান্নানকে দুপুর ১টার দিকে ৪-৫ জন ধরে নিয়ে এসে জলিল নগর একটি মার্কেটে মারে, পরে তারা মান্নানকে চৌধুরী মার্কেটের পাশে ফেলে চলে গেলে, এলাকার লোকজন দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করে জে কে মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করলে, মৃত্যু সনদের জন্য রাউজান উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তার মরদেহ বেতবুনিয়া ডাকবাংলো এলাকায় তার নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয় পরিবারের কাছে। তবে তাকে কেন মারা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
কাউখালী থানার ওসি রাজিব চন্দ্র কর জানান, রাউজান থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতাল শেষে বেতবুনিয়ায় নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। আমরা সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। তবে মামলা করলে সেটা রাউজান থানায় করতে হবে।
কাউখালী উপজেলার উপর দিয়ে নেমে আসা নদী থেকে বালি উত্তোলন ও উত্তোলনকৃত বালির স্তূপ দখল নিয়ে গত ৫ আগস্ট এর পর থেকে উত্তেজনা চলছে। যার কারণে রাঙামাটি জেলাসহ আশপাশের উপজেলায় বালি সরবরাহ ও বিক্রয় বন্ধ রয়েছে।