মোঃ এনামুল হক (জামালপুর জেলা) প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে আনসার ও পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনেশিয়ানের বাক বিতন্ডার জেরে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট জোনাল অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাই হতাশ স্থানীয়রা।
জানা যায় উপজেলার কোয়াটারসহ আনসার ব্যারাকের দুই বছরের বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় গত বৃহস্পতিবারে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনেশিয়ান মো. ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী শাহাজামাল ইয়াসিন। আনসারদের সাথে পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের সেই কর্মচারীকে বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই ঘটনাক্রমে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার নির্বাহী এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন সংশ্লিষ্ট জোনাল অফিস।
সরে জমিনে গেলে, সরোয়ার আলম, সাইফুল ইসলামসহ একাধিক স্থানীয়রা বলেন, আনসার ও বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দ্বন্দ্বের কারনে আমরা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ফ্রিজে রাখা খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে আমাদের খাদ্য সামগ্রী নষ্টসহ পেরেশানিতে রেখেছিলো। সরকারের দ্বায়িত্বশীল জায়গায় থেকে সাধারণত জনগনে সমস্যার কথা চিন্তা না করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা কতটুকু যুক্তিসম্মত। আমরা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট সঠিক বিচারের দাবি করছি।
তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কারন জানতে চাইলে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ ইয়াহহিয়া সিদ্দিকী বলেন,এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই।
তবে আনসার সদস্যরা কেউ কথা বলতে না চাইলেও পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীদের বেঁধে রাখার বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম, বিষয়টি শোনামাত্রই আমলে নিয়েছি। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকাতে তিনি বলেন,গত ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় মসজিদে নামাজের সময় মুসুল্লিদেরসহ নির্বাহী এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলাতে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হয়েছে ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীকে বেঁধে রাখার ঘটনায় সমঝোতা বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও তিন আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা যায়।