যশোর সদর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে মোহাম্মদ আলী নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাহাদুরপুর তেঁতুলতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বাহাদুরপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশের দাবি, জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
এদিকে পরিবার দাবি করছে, সদ্য সমাপ্ত যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
নিহত মোহাম্মদ আলী (৩০) যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলী মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয় উপলক্ষে রাতে ওই এলাকায় খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেন। খাওয়া দাওয়া শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ৪-৫ জন যুবক তাকে ধাওয়া করে ধরে মাথায় একাধিক গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আলীকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মো. সুজায়েত জানান, হাসপাতালে আসার আগেই আলীর মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় দুটি ও পায়ে একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্থানীয় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবীর তুহিন বলেন, বুধবার অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর নির্বাচনীকর্মী ছিলেন মোহাম্মদ আলী। তার বিজয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপশহর ই ব্লকে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। ওই আয়োজন সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা আলীর মাথা ও পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে ৫ রাউণ্ড গুলি চালায়।
ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া, র ্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) জুয়েল ইমরান বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে৷ তবে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় আছে কিনা সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামি আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।