সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের মুক্ত মঞ্চে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বৈশম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি, নিশান মাহমুদ,আব্দুর রহিম (রবিন), রেদোয়ান খন্দকার মাহিন, নাফিসা দিয়া বক্তব্য প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সাফায়াত,তুর্য্য,সারা আমিন,রিসালাত খান,সৈয়দ রবিউল সানি,রিফাত,সেজুতি,আরদি,সামি,মামুন,জামিউল প্রান্ত আলিফ ও সৈয়দ শাফিন।
বক্তব্যে আহনাফ রহমান আবিদ বলেন আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিলাম।আমাদের নাম ভাঙিয়ে ছাড়া চাদাবাজি,লুটতরাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আজকের আমাদের এই অবস্থান। আমরা চাই সত্য উন্মোচন হোক সত্য সবার সামনে চলে আসুক।জামালপুর জেলায় কোনো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থাকে সেটা সাধারণ ছাত্ররা সবাই।কারন আপনারা জানেন আমরা কাঁধে কাঁধ রেখে সকল ছাত্র জনতা কর্মসূচি করে আসছি,কিন্তু কিছু ছাত্র নাম দারী,নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজী, লুটতরাজ করছে কিন্তু আমরাদের জানামতে কোনো চাঁদাবাজি, লুটতরাজ আমাদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্ররা জড়িত নয়।
আব্দুর রহিম বলেন,বৃহস্পতিবার ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে একটি পক্ষ দাবি করছে,কিন্তু এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো মারামারি হয়নি।ওখানে যারা ছিলো সবাই গনঅধিকার পরিষদের। এটা সত্যি আমরা ৫ তারিখ পর্যন্ত সবাই একসাথে আন্দোলন করেছি কিন্তু এই নয় দেশ স্বাধীনের পর চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে যাবে একটা অংশ আর আমরা সাধারণ ছাত্ররা সেইটা কে সমর্থন করবো এমন টা কখনোই হতে দিবো না।
রেদোয়ান খন্দকার মাহিন জানান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জামালপুর জিলা স্কুলের তেমন কেউ ছিলো না আমি আর তুর্য ছিলাম।আমরা সেখানে কোনো এট্যাকে যাইনি অথচ একটি পক্ষ ফেসবুক লাইভে গিয়ে বলেছে গুন্ডারা নাকি এট্যাক করেছে। মাহমুদুল হাসান বিবেক যদি জামালপুর জেলা স্কুলের কাছে ক্ষমা না চায় তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
জেলা প্রশাশক এর কার্যালয়ের জেলা ক্রিড়া সংস্থার এডহক কমিটির প্রস্তুতি মূলক সভায় অংশগ্রহণ এর জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনে যুক্ত থাকা সমন্বয়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয় বৃহস্পতিবার সকালে এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বয়ক দের একটি তালিকা জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।