শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর ও তার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি রেজাউল হাওলাদার ও তার লোকজন এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ আহত যুবদল নেতার।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চাকধ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর, উপজেলা যুবদলের সদস্য সোহাগ মাঝি, ঘড়িসার ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি আক্কাস বেপারি, বিল্লাল খান ও মিজানুর রহমান জাহিদ।
ভুক্তভোগীরা জানান, নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সাগরের সঙ্গে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি রেজাউল হাওলাদারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। শুক্রবার ১০টার দিকে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম ফয়সালের আগমন উপলক্ষে ২০টি মোটরসাইকেলে নেতাকর্মীদের নিয়ে নড়িয়া যাচ্ছিলেন মতিউর রহমান।
এ সময় তারা চাকধ এলাকায় আসলে গতিরোধ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রেজাউল হাওলাদার, রনি মাঝিসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর বলেন, আমি ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম ফয়সালের আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছিলাম। চাকধ এলাকায় রেজাউল হাওলাদার ও রনি মাঝিসহ বিএনপির কিছু সুবিধাবাদী লোক আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা আমার ছেলের পা ভেঙে ফেলেছে, আমার নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি রেজাউল হাওলাদার কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফয়সাল ভাইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যাচ্ছিলাম।
তখন আমি, স্বপন ভাই ও হায়দার ভাই সামনে ছিলাম। পেছনে কী সমস্যা হয়েছে আমি সে বিষয়ে কিছুই জানি না।
নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।