সুবিধাবঞ্চিত একটি উপজেলার নাম গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলা। শহরতলী হওয়া সত্ত্বেও এ উপজেলায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আর এই অনুন্নয়নের ছাপ লেগেছে শিক্ষা ক্ষেত্রেও। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার যে দৃঢ় প্রত্যয় তা দেখা যায়নি এ অঞ্চলের শিক্ষা ক্ষেত্রে।
সুবিধাবঞ্চিত এ অঞ্চলের মানুষকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে, নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মু. নাজমুল ইসলাম। তিনি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন প্রিন্সিপাল মো. নাজমুল ইসলাম বিদ্যানিকেতন।
ক্যাডেট ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি, বৃত্তিপ্রদান সহ অসহায় পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী থাকলে তাদের বিনা খরচে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে এই বিদ্যানিকেতন। এতে করে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার( ১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পৌরসভার দূর্বাটি এলাকায় দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রিন্সিপাল মো. নাজমুল ইসলাম বিদ্যানিকেতনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন পৌরসভায় ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ মোমেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. নাজমুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার দূর্বাটি এলাকায় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। যে কারণে এ এলাকার শিক্ষার্থীদের দূর-দুরন্তে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আর এতে করে উপজেলার বিরাট একটি জনগোষ্ঠী শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। ক্যাডেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা এ উপজেলায় নেই। আমি আশা করছি আমাদের এ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীকে আমরা সামনের দিকে নিয়ে আসতে পারবো। দুস্থ পরিবারে যদি কোন মেধাবী শিক্ষার্থী থেকে থাকে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়ালেখা করতে যত খরচ লাগে তা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যয় করব। এতে করে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে আসবে বলে আমি মনে করছি।
সভাপতির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ মোমেন বলেন, আমাদের এই গ্রামে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। যেহেতু এটি একটি ক্যাডেট ভিত্তিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেহেতু এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উঠে আসতে পারবে।
উল্লেখ্য অধ্যক্ষ মু. নাজমুল ইসলাম উপজেলা পর্যায়ে তিনবারের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি একটি হাসপাতাল নির্মাণ করবেন বলে জানিয়েছেন এই শিক্ষাবিদ।