চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আসামি ছিনতাই কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ ও চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শাহেদ নামে এক দোকান কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জুন) বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়। পুলিশ শনিবার (৮ জুন) মোজাম্মেল হক নামের এক আসামিকে ধরতে যায়। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি চালালে যুবলীগ কর্মী এরশাদ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরেকজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ, এসআই জয়নাল, পুলিশ সদস্য জ্ঞানতোষ চাকমা ও জাকির হোসেন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেলে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সঙ্গে স্থানীয়দের একটি মতবিনিময় সভা ছিল। সে অনুষ্ঠান শেষ করে আসামি মোজাম্মেল হকসহ সবাই চাতরী চৌমুহনী বাজারের ভোজনবাড়ী রেস্টুরেন্টে নাশতা করছিলেন। ওই সময় পুলিশ মোজাম্মেলকে মামলার আসামি উল্লেখ করে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় নেতাকর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন কালবেলাকে বলেন, শুক্রবারের ঘটনায় থানায় মামলা হলে আমরা পটিয়া, কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে আসামি মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করি। কিন্তু ওই সময় আমাদের কাছ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হকসহ লোকজন অভিযুক্ত আসামি মোজাম্মেলকে ছিনিয়ে নেন।
আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই উপস্থিত লোকজনই মোজাম্মেল হককে ছিনিয়ে নেয়। আমি জানার পর গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আনোয়ারা থানার ওসি আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং খারাপ আচরণ করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার সময় গুলি চালালে চারজন আহত হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, শনিবার রাতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।