ঢাকাশুক্রবার , ১৪ জুন ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. সারাদেশ
  10. হ-ব্রেকিং

ঝিনাইগাতীতে মিলন হত্যার আসামী কাজল গ্রেফতার

বার্তা কক্ষ
জুন ১৪, ২০২৪ ১১:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া সরকারপাড়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর এমদাদুল হক মিলন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মো. কাজল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে শ্রীবর্দী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো. কাজল মিয়া একি গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

র‍্যাবের প্রেস রিলিজ সুত্রে জানা গেছে, নিহত এমদাদুল হক মিলন শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকারপাড়া গ্রামের মো. আবুল কাশেম এর ছেলে । নিহতের প্রতিবেশী মো. কাজল মিয়ার পরিবারের সাথে আসামী মো. কাজল মিয়ার পরিবারের দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ কলহ চলে আসছিলো । সেই পূর্ব কলহের জের ধরে নিহত এমদাদুল হক মিলন এবং তার পরিবারের ক্ষতিসাধন করার নিমিত্তে আসামীরা বিভিন্ন অযুহাতে বাকবিতন্ডা করে আসছিলেন। এরি ধারাবাহিতায় ২০২৪ সালের ১০এপ্রিল  রাত অনুমানিক ৮টার দিকে এমদাদুল হক মিলন ও তার বড় ভাই মো. হাশেম আলী স্থানীয় তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ঘাগড়া সরকারপাড়া সাকিনস্থ ঈদগাঁহ মাঠের পাশে পৌঁছানো মাত্রই আসামী মো. কাজল মিয়াসহ অন্যান্য এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামীগন পূর্ব থেকেই রড, লাঠি ও মারাত্মক অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এমদাদুল হক মিলনকে খুন করার উদ্দেশ্যে পথ রোধ করে অতর্কিত হামলা করে। উক্ত হামলায় এমদাদুল হক মিলন ও তার বড় ভাই মো. হাশেম আলী গুরুতর ভাবে আহত হয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে  আশপাশের  লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা  এমদাদুল হক মিলন ও তার বড় ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে জেলা সদর হাসপাতালে এমদাদুল হক মিলন ও তার বড় ভাইকে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে   ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে এমদাদুল হক মিলন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তার স্ত্রী মোছা. লাবনী আক্তার  বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
পরবর্তীতে এমদাদুল হক মিলন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ এপ্রিল দুপুরে মৃত্যুবরণ করে। এরপর নিহতের বড় ভাই  মো. হাশেম আলীবাদী হয়ে ১৭ জনকে স্বনামে এবং আরও ১০/১৫ অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা দায়ের করে।
 
উক্ত ঘটনার পর থেকেই  এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীগণ গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে আছে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে
শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা বাজার মো. কাজল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে উক্ত মামলায় ঝিনাইগাতী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি