কমতে শুরু করেছে আখাউড়ার বন্যার পানি। তবে বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা এখনো পানিবন্দি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ভোর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার ডুবে যাওয়া নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে আখাউড়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৭৯ মিটার ওপরে ছিল। তবে সেটি আজ ভোর থেকে কমে ৫ দশমিক ৭০ মিটারে এসেছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় হাওড়া নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। উপজেলায় ১ হাজার ৬৯৫টি পরিবার পানিবন্দি আছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় ১০ দশমিক ৫ টন চাল, ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ ৮ দিন পর রোদের দেখা মিলেছে নোয়াখালীতে। মেঘনা নদীতে নামতে শুরু করলেও পানিবন্দি আছেন ২০ লাখ মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতা বাড়ে এবং মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করায় তা বন্যায় রূপ নেয়।
টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে গেছে। পানিবন্দি রয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। প্রায় ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বৃষ্টিপাত, জোয়ার ও ফেনী থেকে আসা পানির চাপ সবকিছু মিলিয়ে কোম্পানীগঞ্জ মোটামুটি ভালো আছে। সোনাগাজীর রেগুলেটর চালু হয়ে গেছে, মুছাপুরের রেগুলেটর চালু হবে কিছুক্ষণের মধ্যে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক আছে। আপাতত কিছুটা আশঙ্কা কমেছে। ভারি বৃষ্টিপাত এবং ভারতের পানির চাপের ওপর নির্ভর করছে বন্যা পরিস্থিতি কী হতে পারে।