সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল পেশায় ছিলেন একসময় পাট ব্যবসায়ী। জানা গেছে সে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম গ্রহণ করেন। এলাকাবাসী সহযোগিতায় শুরু করেন পাটের ব্যবসা কোনরকম জীবনযাপন করতেন সে।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা ৮ নং পলবান্ধা ইউনিয়নের (উত্তর খানপাড়া) সিরাজাবাদ গ্রামের তার জন্ম। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ইসলামপুরের আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা কর্মীরা কালবেলা কে বলেন, ফরিদুল হক খান এরশাদের আমলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন কালের বিবর্তনে বিভিন্ন দল ঘুরে তৎকাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জিয়াউল হকের হাত ধরে আওয়ামী লীগ দলে যোগদান করেন ।২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে শুরু করেন তার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব। শুরুতে সংসদ সদস্য প্রভাব খাটিয়ে হাতের মুঠোয় নেন প্রশাসনকে, তারপর থেকে পিছনে আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি দুলালের। শুরু করেন রমরমা ইউপি চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাণিজ্য, জমি দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত ও চাকরি দেওয়ার ঘোষ বাণিজ্য,ছিল তার নিত্য দিনের সাথী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তার পছন্দ মতন লোক অন্য দল থেকে এনে পথ পদবী প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামপুর উপজেলার।দ্বিতীয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। পুনরায় একাদশ সংসদেও সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। এছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রের দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সে। সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যাপক মতিউর রহমানের মৃত্যুর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদুল হক খাঁন দুলাল কে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব দেয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর তা শুরু হয় বেপরোয়া জীবন যাপন গড়ে তুলেন সম্পদের পাহাড়। নির্বাচনী ইসলামপুর থেকে তার শুরু করে রাজধানী বিভিন্ন জায়গা ও বিদেশসহ কয়েকটি আলিশান ফ্লাট, তার নিজ নামে পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে আত্মীয়-স্বজনের নামে ক্রয় করেন তিনি। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব বাণিজ্য ও পিছিয়ে ছিলেন না তিনি। হজ্ব সিন্ডিকেটের নিজেকে করেছিলেন সম্পৃক্ত। হজ্বের সময় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করেন বিদেশে? ধর্মপ্রতি মন্ত্রী হয়েই সরকারি ব্যবস্থাপনা নির্বাচনী এলাকা থেকে ৫০ জন বৃত্ত শালীকে হজ্ব করিয়ে নিয়ে এসেছেন। বাদ পড়ে নি তার কোন আত্মীয়-স্বজন। ধর্ম বিষয় মন্ত্রণালয়ের যতপ্রকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে? তার নামমাত্র অনুদান দিয়েই বাকি টাকা লুটেরা দের নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তার নিজ এলাকা তুলেন ক্যাডার বাহিনী সেই ক্যাডার বাহিনীর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তার সহোদর ছোট ভাই মাসুম খান। তিনি এবং তার ক্যাডার বাহিনীর সবসময় চলাফেরা করতেন বিলাসে বহুল গাড়িতে, মাসুম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত চলতো টেন্ডারবাজী,চাঁদাবাজি, জমি দখল মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন সহ নাম অপকর্ম।
২০২৩ সালের ১৭ই আগস্ট রাতে সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের নির্দেশক্রমে তার ক্যাডার বাহিনী জামালপুর শেরপুর সংরক্ষিত নারী (এমপি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হোসনেয়ারা কে শারীরিক লাঞ্ছিত করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে।
শুধু তাই নয় এর আগে ইসলামপুর ২ আসনের ৬ বারের প্রয়াত সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী (এমপি) রাশেদ মোশারফকেও তার ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা অপমান অপদস্ত করা হয়। সাবেক ভূমিকম্প মন্ত্রীর রাশেদ মোশারফ এর মৃত্যুর পর তার পরিবারের উপর শুরু করে নির্মম অত্যাচার।
এছাড়াও ইসলামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ কাদেরকে অহেতুক ভাবে ক্ষমতা অপব্যবহার করে মেয়র পর থেকে সরিয়ে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি নিজেকে রেখেছেন আত্মগোপনে গ্রেফতার আতঙ্কে দিয়েছেন গা ঢাকা।