কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের দুটি বাড়ি কঙ্কালে মতো দাঁড়িয়েছে। বাঁচাতে পারেনি তার ঘর-বাড়ি।তিনি মির্জা আজম জামালপুর -৩ মাদারগঞ্জ আসনের একাধারে ৭ বারের এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক হুইপ,পাট মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, মির্জা আজম ক্ষমতার সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহন করেও নিজের ঘর বাঁচাতে পারেননি।বাড়িটি দাড়িয়ে আছে কঙ্কালের মতো।
ক্ষমতা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামালপুর শহরে বকুল তলাস্থ বাড়ি আলীয়া কটেজ,পাশাপাশি তার নির্বাচনী এলাকা মাদারগঞ্জ উপজেলার পৈত্রিক ভিটায় নির্মিত সুরম্য মির্জা ভবনটি ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে দিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা। ইট পাথরের কাঠামো ব্যতিত আর কিছু নেই সেখানে ।শুধু মানুষের ঘৃণা ও পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বহিঃপ্রকাশের স্বাক্ষী হয়ে কঙ্কালের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে বাড়ি দুটি।
ক্ষমতার দীর্ঘকালে তিনি কতজনের কত কিছু করেছেন। কত অঘাটকে ঘাট করেছেন,গোবরে ফুটিয়েছেন পদ্ম ফুল। কত কর্মীকে নেতা বানিয়েছেন, ছাত্রকে শিক্ষক। কত বেকারকে কর্মঠ করেছেন,কর্মঠকে দিয়েছেন কর্মসংস্থান।গরীবকে ধনী বানিয়েছেন, ধনীকে বিত্তবান।মেম্বারকে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন,চেয়ারম্যানকে মেয়র। কনস্টেবলকে দারোগা করেছেন, দারোগাকে ওসি।অথচ তার চরম দুঃসময়ে কেউ তার পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।কেউ এগিয়ে আসেনি নেতার সম্পদ রক্ষায়। এমনকি তার স্বজন বা আপনজনরাও।সবাই যেন চাচা আপনা জান বাঁচা।সবাই থেকেছেন ধ্বংসযঞ্জের নিরব দর্শক হয়ে। এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার সসর্থক জামালপুরের কয়েকজনে বলেন,তিনি মির্জা আজম জামালপুরের একজন গর্ব ছিলেন।যারা তার বসত ঘর-স্থাপনায় আক্রোশ মুলক এহেন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা তা ঠিক করেনি।