জেলার ইসলামপুর উপজেলার মন্নিয়াচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারি শিক্ষক জাকিউল হক সহকারি প্রধান শিক্ষকের(এমপিওভুক্ত)পদ পেতে শিক্ষা মন্ত্রানালয়ে অভিযোগ দিয়েছে।সম্প্রতি তিনি সহকারি শিক্ষক জাকিউল হক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে এ অভিযোগটি দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সুত্র জানায়,উপজেলার মন্নিয়াচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাকিউল হক এবং একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমজাদ হোসেন ওই বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষকের এমপিও পেতে দপ্তরে দুজনেই আবেদন করেন। জাকিউল হক এর আগে মন্নিয়াচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এবং তিনি সিনিয়র শিক্ষকও।পরে ময়মনসিংহের বিভাগীয় উপ-পরিচালক(ডিডি)রওশন আরা খান উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে মহামন্য হাই কোর্ট ও মাউসি মহাপরিচালকের আদেশ অমান্য করে উপজেলার মন্নিয়াচর উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে সহকারী প্রধান শিক্ষকের এমপিওভুক্তি করে দেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপ-পরিচালক রওশনারা খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘটনায় মন্নিয়াচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি(সাবেক)মোঃ নাজিম উদ্দিন তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।মন্নিয়াচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান,এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক ২০২২ সালে মারা যান।পরে মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থাকাকালে সহকারি প্রধানের এমপিওভুক্ত হয়ে আমিই বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছি। জাকিউল হক কখনও কোন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ছিলনা,তার হাইকোর্টের দেয়া পিটিশন খারিজ হয়েগেছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকিউল হক জানান,রাজনীতি’র গেরাকলে ফেলে ও হাউকোর্টের আদেশ অমান্য করে আমাকে এমপিওভূক্ত না করে শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেনকে,সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এমপিওভূক্ত করেছেন,যা অবৈধ।তদন্ত সাপেক্ষে আমজাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করে জাকিউল হককে তার স্থলাভিসিক্ত করার দাবি জানান।