সাতক্ষীরায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে র ্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণীর নাম চুমকি (২০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে। চুমকি সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লষ্কর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার রেজাউল ইসলামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে চুমকি রাস্তা দিয়ে একটি স্পিকারে জোরে গান বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মাদকাসক্ত ইলিয়াস তার বাড়ির সামনে জোরে গান বাজানোর কারণে হাতুড়ি দিয়ে চুমকির মাথায় কয়েকটি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তারা আরও জানান, এ সময় ঘাতক ইলিয়াস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে পিটিয়ে আহত করে। পরে র ্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত ইলিয়াস, তার বাবা-মাসহ পাঁচজনকে আটক করেন।
নিহতের পিতা রেজাউল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেশী থানাঘাটা গ্রামের ইকবাল ড্রাইভারের ছেলে মাদকাসক্ত ইলিয়াস (৩০) হাতুড়ি দিয়ে আমার মেয়ে চুমকির মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মমতাজ মুজিব বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। হাতুড়ির আঘাতে মেয়েটি মাথায় আঘাত পায়। যে কারণে আঘাত পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সে মারা গেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলেই আছি। ঘাতক যুবককে গ্রেপ্তার করা হবে।
র ্যাব-৬ সাতক্ষীরার কমান্ডার মো. ফয়সাল তানভীর কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক যুবক, তার মা-বাবাসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে জানানো হবে। অসুস্থ অবস্থায় ইলিয়াসকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।