বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মোতালেব মিয়ার স্ত্রী জেরফুল বেগম। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জেরফুলের বর্তমান বয়স ৭৬ বছর ৭ মাস। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত তার কপালে জোটেনি কোনো সরকারি ভাতা বা সাহায্য। বৃদ্ধা জেরফুলের প্রশ্ন, আর কত বছর বয়স হলে তিনি ভাতা পাবেন।
গত ২০ বছর পূর্বে স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়ের সংসারে থাকতেন জেরফুল। স্বামী মারা যাওয়ার পর অভাবের সংসারে টানাপড়েনে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে তার। বয়সের ভারে লাঠি ভর দিয়ে মোটামুটি হাঁটাচলা করতে পারেন জেরফুল।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে রোগে বাসা বাঁধছে। এখন অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেরফুল। অথচ এই বয়সে এসেও তার কপালে একটি বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড জোটেনি।
বৃদ্ধা জেরফুল আক্ষেপ করে বলেন, আগে বাড়িতে বসে কাজ করে চলতে পারতাম, এখন পারি না। শরীরে বলশক্তি পাই না
তিনি আরও বলেন, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডিসহ অসহায় মানুষের জন্য দেওয়া সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা আমি পাই না। বারবার সাহায্য চেয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তারা আমাকে একটি ভাতার কার্ড করে দেয় নাই। আল্লার কাছে বিচার দিছি, যদি কারও দয়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, এই বৃদ্ধা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু বর্তমানে দলীয়ভাবে যে যার দলে এবং যে যার সাপোর্ট করে তিনি সেই দলের লোককে দেন। কিন্তু গরিব মানুষ দুঃখের কথা বলার কোনো জায়গায় পায় না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আ. লতিফ নান্টুকে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. তাহাসিন এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিতে চান না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, তিনি যদি আবেদন করে থাকেন তাহলে আমি তার জন্য সুপারিশ করব।