কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের ভর্তি ফি, অনার্স কোর্সের ফরম পূরণের অতিরিক্ত খরচ কমানো, কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী ক্যান্টিন নির্মাণ এবং ছয় দফা দিবস উপলক্ষে একটি প্রোগ্রামের অনুমতিসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দৌলতপুর উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে তাদের গুলি করতে যান। সে সময় তিনি জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্রলীগের রাজনীতি চলবে না। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই বাস্তবায়ন হবে।
এমন ঘটনায় অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার ও তার প্রায় ৫ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগ।
রোববার (৯ জুন) সকাল ১১টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ছাত্রলীগের ডাকা এ মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এখানে বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মাহমুদ, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নান্টু মিয়া, দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোল্লা মো. চঞ্চল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহুরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন কবিরাজ, সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন- অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমনের গুলি করতে যাওয়ার কাহিনি নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি এ অস্ত্র দিয়ে ওই কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রদর্শক জহুরুল আলমকে গুলি করতে গিয়েছিল। এতে জহুর আলম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ওই সময়ে একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।
বক্তারা জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে অধ্যক্ষের অনুগত রাজু, বিদ্যুৎ, ছোটন খাঁ, মমিনুর রহমান মোহন তাদের কোমরে থাকা অবৈধ অস্ত্র বের করে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যায়। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরও জানান, অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ক্ষমতা ব্যবহার করে কলেজটিতে অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
এসব বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুষ্টিয়ার রূপকার মাহাবুল আলম হানিফসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানান বক্তারা।
এ ছাড়াও অধ্যক্ষের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলসহ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও কল রিসিভ হয়নি।