জামালপুরের ইসলামপুরে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ইসলামপুর এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদীতীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে যমুনা তীরবর্তী ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ জুলাই) ও বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে যমুনার পানি বাড়তে শুরু করে। রাত থেকে বিভিন্ন খাল, বিল ও যমুনার ছোট ছোট শাখা প্লাবিত হয়। এ সময় পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে।
পানি বাড়ায় ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে। পানি গ্রামের কিছু বাসিন্দার আঙিনায় যেতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন তারা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টা জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা।
ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে যমুনার পানি কিছুটা বেড়েছিল। তবে কয়েক দিনের মধ্যে পানি আবার কমে যায়। হঠাৎ গতকাল থেকে খুব দ্রুত পানি বাড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। কারণ, যমুনার একদম তীরবর্তী ইউনিয়ন চিনাডুলী। যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠলেই সবার আগে এই ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। এরইমধ্যে বলিয়াদহ, পশ্চিম বাবনাসহ কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। আর কয়েক সেন্টিমিটার পানি বাড়লে বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।