মোঃ এনামুল হক (জামালপুর জেলা) প্রতিনিধিঃ
গত এক সপ্তাহ ধরে জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যার পানির নিচে তলিয়ে আছে সবজি ও আমন বীজতলাসহ ৩০হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি ও আমন বীজতলা। কপম বন্যাদুর্গত এলাকার কৃষকরা বলছেন কৃষি বিভাগের তথ্যের চেয়ে বন্যায় ফসলের ক্ষতির পরিমান তিন গুণ বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বন্যার পানির নিচে তলিয়ে থাকা ২ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমির মধ্যে , বিভিন্ন শাক-সবজি রয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে, আমন বীজতলা রয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে আর ২৪০০ হাজার হেক্টর জমিতে রয়েছে পাটসহ অন্যান্য ফসল।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী, বেলগাছা, কুলকান্দী, সাপধরী,নোয়ারপাড়া, চিনাডুলী, ইসলামপুর সদর,পলবান্ধা, পৌরসভা সহ ইউনিয়নের চিনাডুলী গ্রামের কৃষক সুরজামাল মিয়া (৬০) বলেন, তার তিন বিঘা জমির মরিচ ও পটল খেত বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চার বিঘা জমির পাটখেতও পানির নিচে। এখনো পাটখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে বন্যার পানি আর কয়েকদিন থাকলে পাটখেতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলা বেলগাছা ইউনিয়নের বরুল গ্রামের কৃষক মনির ইসলাম (৪৫) বলেন, তিনি ৩বিঘা জমিতে মরিচ লাগিয়েছিলেন। শুধু ৩০ কেজি মরিচ বিক্রি করেতে পেরেছেন। মরিচ খেত বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে খেত। এবছর ২ লাখ টাকার মরিচ বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তার।
উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের দেলীরপাড় গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন (৫০) বলেন, বন্যার পানির নিচে তলিয়ে থাকায় তার ৪০ শতাংশ জমির আমন বীজতলা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেলে পুনরায় আমন বীজতলা প্রস্তুত করতে হবে। কবে বন্যার পানি নামবে সেই আশায় দিন গুনছেন।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজওয়ান ইসলাম বলেন, বন্যার পানির নিচে তলিয়ে থাকা শাক-সবজি ও আমন বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এখনো পাটের কোনো ক্ষতি হয়নি। বন্যার পানি ৩-৪ দিনের মধ্যে নেমে গেলে ফসল কিছুটা রক্ষা হবে। কৃষি বিভাগের লোকজন এখনো মাঠপর্যায়ে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করছেন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী সহ প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বলেন, নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আজ বুধবার সকাল থেকে উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।